Friday, June 19, 2020

সীমান্তে


সীমান্তে 

খড়গপুর স্টেশনে নেমে বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে গেলাম। যেতে হবে কেশিয়ারী। বাস এলো ঘণ্টাখানেক বাদে। খুব ভীড় কোনরকমে পাদানিতে পা দিতে না দিতেই বাস ছেড়ে দিল।

আধঘণ্টার পথ। কিন্তু  পথ যেন আর শেষ হয় না। কেশিয়ারীতে যখন পৌঁছলাম, তখন চারপাশের গাছ-গাছালির উপরে শেষ বিকেলের আলোর রঙ ছড়িয়ে পড়েছেঘরমুখো পাখির ঝাঁকে আকাশ ঢাকা পড়েছে। বাসস্ট্যান্ড প্রায় ফাঁকা। দূরে পান্নাদার চায়ের দোকানে দুজন বেঞ্চিতে বসে আয়েস করে চা খাচ্ছে। কোন তাড়া নেই। আমারও সেরকম হলে বেশ হত। কিন্তু নাআমার পক্ষে তো আর তা সম্ভব নয়। ভারতীয় সেনার জন্মু আর কাশ্মীর রাইফেল রেজিমেন্টের সেনা আমি। প্রত্যেক মুহূর্ত হিসেব করে চলতে হয়। প্রত্যেক মুহূর্তে সতর্ক পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাই জীবন- মৃত্যুর সীমান্ত ধরে।

 বাসস্ট্যান্ডে কোন ভ্যান-রিকশা ছিল না। অপেক্ষা না করে হাঁটতে শুরু করলাম। এখান থেকে  মাইল পাচেঁক  হাঁটা। কিন্তু আমার সে অভ্যেস আছে। তাও তো আজ আমি খালি হাতে হাঁটছি। কতদিন কত  ভারী জিনিষ পিঠে নিয়ে পাহাড়ি পথে মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হয়েছে

অনেকদিন বাদে আমার গ্রামে ফিরে এলাম। এখানেই ছোটবেলা থেকে থেকেছি। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেছি। তার পর গত দশ বছর বাড়ী থেকে দূরে। মাঝে মধ্যে দিনকয়েকের জন্য এসেছি। ছুটিও পাই নি তেমন। আর তাই যখনই এই গ্রামে আসি মনে হয়, এ গ্রামের অ্যালবামে আমার ছোটবেলার ছবিই শুধু যেন রয়ে গেছে। 

পানাপুকুর পেরিয়ে, ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতে যেতে কত কথা মনে পড়লআমি আর ব্রতীপ্রথম আলাপ খড়গপুরে। বছর তিনেক আগের কথা। আমি তখন দিল্লি থেকে বাড়ী ফিরছি ছুটিতেস্টেশনে নামতেই খেয়াল করলাম এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক সামনের বেঞ্চিতে বসে আছে। আর তার পাশে বসা এক কমবয়েসী মেয়ে তাকে জল খাওয়াচ্ছে। এমনিতে হয়ত খেয়াল করতাম না। কিন্তু দেখেই মনে হল ভদ্রলোকের শরীর বেশ খারাপ। এগিয়ে গেলাম। আর কাছে যেতেই চিনতে পারলাম। আমাদের বাংলা পড়াতেন। মানিকবাবু। কিন্তু একি চেহারা হয়েছে! পাশের মেয়েটা ওনার মেয়ে। জিজ্ঞেস করলাম – কি হয়েছে?

মেয়েটা উদ্বিগ্ন গলায় বলে উঠল- বাবাকে নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন হঠাৎ করে এতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যে কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

আমার পরিচয় দিয়ে বলে উঠলাম – কিসের অসুস্থতা?

-কিডনীর অসুখ। তাই কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাছিলাম। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে তো আর নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না বাড়ীতে আর কেউ নেইতাই আমাকেই আসতে হয়েছে।
বুঝতে পারলাম ওদের অসহায় অবস্থার কথা। সেনা হিসেবে একজন সাধারণ নাগরিকের বিপদের মুহূর্তে তাকে তো আর ফেলে আসা যায় না। তাই ঠিক করলাম বাড়ী যাওয়ার যতই তাড়া থাকুক না কেন, ওনার কিছু একটা ব্যবস্থা না করে যাবো না।

মানিকবাবুকে দেখলাম ক্রমশ বেঞ্চির উপরে এলিয়ে পড়ছেন। ওদের বসতে বলে ব্যাগ রেখে আমি ছুটলাম ডাক্তার খুঁজতেস্টেশনের পাশেই এক ডাক্তারের চেম্বার ছিল। অনেক কষ্ট করে ওনাকে ধরে ধরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ মতো কিছু ওষুধ কিনে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে এলাম ওদের।

বাড়ী থেকে বেরোনোর সময় ওর নাম জানলাম। ব্রতী। তা এভাবেই ওর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। তার পরে কিছুদিন যেতে না যেতে আমরা একে অপরের আরও কাছে এলাম। বন্ধুত্ব বাড়ল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মধ্যে দূরত্ব কমল। গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠল যেখানেই থাকি না কেন ওর সঙ্গে ফোনে কথা না বললে দিনটা যেন অসমাপ্ত থেকে যেত। কেউ যেন ঘড়ির ঘণ্টা আর মিনিটের কাঁটাটা বাদ দিয়ে দিত ওর সঙ্গে কথা বলার সময়। কয়েক মাস পরে ওর বাবা মারা গেলেন।খুব কেঁদেছিল সেদিন।আমি সেদিনও দূরে ছিলাম। ভারত –পাক সীমান্ত তখন উত্তাল। তাই যেতে পারি নি।

ওর বাবা নেই, মাও ছোটবেলায় মারা গেছেন। ওকে তাই ওর মামাবাড়িতে গিয়ে উঠতে হল। আমি বাড়ীতে ওর কথা জানিয়েছিলাম। দুই পরিবারের মধ্যে আমাদের বিয়ের কথা এগোল। দুমাস বাদে গত বছর  নভেম্বারে বিয়ে ঠিক হলদিনক্ষণ সব ঠিক।ঠিক হল বিয়ের দুদিন  আগে আমি গ্রামে ফিরে আসব।  

কিন্তু না, ফিরে আসতে পারি নি। শেষ মুহূর্তে হঠাৎ আটকে গেলাম। সীমান্ত আবার চঞ্ছল হয়ে উঠেছিল। পুনচের লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। একটা পাকমদতপুষ্ট টেররিস্ট গ্রুপ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। বাধ্য হয়ে শেষ মুহূর্তে বিয়ের দিন পরিবর্তন করতে হল।

আমি জানি সেজন্য ব্রতী আমাকে ক্ষমা করে নি। করা উচিতও নয়। এতো আর আমেরিকা নয়। ওর মধ্যে আমার যে  চিনহ রেখে এসেছিলাম, তাকে সমাজ কি এতো সহজে স্বীকার করে নেবে! তাও আবার এইরকম গ্রামের সমাজ। যেখানে আজও হাজার কুসংস্কার আছে।

এর মধ্যে শুধু ফোনে কথা হয়েছে। আমি অবশ্য যেসব জায়গায় যাই, তার বেশীর ভাগ জায়গায় নেটওয়ার্কও থাকে না। সব জায়গা থেকে সিকিউরিটির কারণে ফোন চাইলেও করা যায় না। তবু প্রত্যেক সপ্তাহে অনেক পথ পেরিয়ে গেছি শুধু ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য। ওর অভিমানী গলা শুনেছি। কিন্তু আমার তো আর কিছুই করার ছিল না

এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন জানি আমার গ্রামের বাড়ীর কাছে চলে এসেছি। দূরে এতক্ষণে কিছু বাড়ীতে আলো জ্বলে উঠছে। সন্ধ্যারতি শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে এক রাশ মেঘ এসে দিনের শেষ আলোটুকু চুরি করে নিয়েছেকখন ভারী বৃষ্টি নামবে কে জানে! আমি দ্রুতপায়ে এগিয়ে চললাম।
 আজকে বিশেষ দিন। আমি কথা দিয়েছিলাম আজকে যে করেই হোক ব্রতীর সঙ্গে থাকব। তাই তো এসেছি এতোটা পথ পেরিয়ে। বাড়ী না গিয়ে সোজা হাসপাতালের পথ ধরলাম। এখানেই আছে ব্রতী।  জানি সমাজের সব বাধা নিষেধ অগ্রাহ্য করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ওর পক্ষে এত সহজ  ছিল না। আর আমার বাড়ীর থেকেও ওই দিনের পরে আর কেউ ওকে স্বীকার করতে চায় নি। নাহ, সে কথা আজ থাক। ভাগ্যে যা থাকে, তাই হয়।  আমরা প্রশ্ন করতে পারি। কিন্তু উত্তর খুঁজে পাব না।

হাসপাতালে যখন পৌঁছলাম তখন ভিসিটিং আওয়ারস শেষ। মেঘ সরিয়ে একফালি চাঁদ ফের উঁকি দিচ্ছে। ঝিঁঝিঁর ডাক শোনা যাচ্ছে। শীতের অন্ধকার যেন কুয়াশার চাদরের আড়ালে বাড়ীটাকে কিডন্যাপ করেছে। আমি ভেতরে ঢুকে গেলাম। নিচে সিঁড়ির কাছে দুজন নার্স বসে গল্প করছে। একটা পাহারাদার গোছের লোক সিঁড়ির প্রথম ধাপে বসে খৈনি খাচ্ছে। তার দুটো সিঁড়ি উপরে একটা নেড়িকুকুর বারান্দায় লেজ গুটিয়ে বসে আছে। আমি ওদের পাশ কাটিয়ে উপরে উঠে গেলাম।

দোতলার বারান্দায় পরপর ঘর। ব্রতীকে খুঁজে বার করতে সময় লাগল না। ও শুয়ে আছে। চুল উস্কোখুস্কো। মুখে অস্ফুটে কি যেন বলছে! একা।  পাশে কেউ নেই। কে বা থাকবে বাপ- মা মরা অভাগা মেয়েটার পাশে। বিশেষ করে যাকে সমাজও স্বীকার করে না।

-না, ব্রতী তুমি চোখ বুজে শুয়ে থাক। আমি আছি তোমার পাশে। যেমন কথা দিয়েছিলাম যে সব সময় তোমার সঙ্গে থাকব সুখে দুঃখে। আমি জানি তুমি ভেবেছিলে হয়ত আমি আর আসব না। তা কখনও হয়! এরকম বিশেষ মুহূর্তে আমি আসব না! আমি আমার সন্তান দেখতে আসব না?
মনে আছে আমরা এক সঙ্গে গাইতাম- ‘জীবন – মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে’? আজকে খুব সে কথা মনে হচ্ছে। সে গানের কথাগুলো যেন প্রাণ পেয়ে আমার আর তোমার মধ্যে এই নীরব রাতের অন্ধকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

চুপ করে পাশের টুলে বসে অপেক্ষা করলাম। রাত বাড়ছে। যন্ত্রণায় ও ছটফট করতে শুরু করল। ওর চিৎকার শুনে একজন নার্স ছুটে এসেছে। ডাক্তার, হ্যা ডাক্তার ডাকার এক্ষুনি দরকার। হয়ত সময় হয়ে এসেছে। আমাদের সন্তানের আসার।  হাসপাতালের রেসিডেণ্ট ডাক্তার ছুটে এলো খানিকক্ষণের মধ্যেই। ওকে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হল। আমার সেখানে যাওয়ার সাহস নেই। চুপ করে দরজার বাইরে অপেক্ষায় বসে থাকলাম।  প্রসবযন্ত্রণায় ও  বারবার চিৎকার করে উঠছে। নার্সটা ভালো। ওর চোখে মুখে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কিছু একটা ইঞ্জেকশন দিল। মনে হল যন্ত্রণা কমানোর জন্য।  

মনে মনে ধন্যবাদ জানাই আমার দেশকে। যে দেশের জন্য আমার প্রাণ  উৎসর্গ করেছি, সে দেশের মাটিতে ওর জন্ম হচ্ছে। কালকে ওর হাতেই থাকবে এ দেশরক্ষার দায়িত্ব। ঠিক যেমন আমার হাতে ছিল। এখন শুধু অপেক্ষা। কয়েক মুহূর্তের নাকি কয়েক ঘণ্টার। জানি না। এরকম সময় মুহূর্ত আর ঘণ্টার মধ্যে আর পার্থক্য থাকে না। বারবার এগিয়ে যাই ওই ঘরের দিকে। আর তার পরেই আবার ফিরে আসি। পায়চারি করি।    

রাত শেষের আগেই কান্নার শব্দ এলো। আমার মেয়ে হয়েছেকি সুন্দর ফুটফুটে দেখতে। আর কি মিষ্টি সে কান্না!

 খানিকবাদে ব্রতীর  কোলে ওরা মেয়েটাকে তুলে দিল। কি সুন্দর লাগছে। এত কষ্টের মধ্যেও ওর মুখের এই হাসি। ঘেমে ওঠা মুখের উপরে চুল এসে পড়েছে। আর ওর দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। আমি জানি ও কেন কাঁদছে। আমি জানি। এগিয়ে গেলাম ওর কাছে। ওর হাতে হাত রাখতে।    

-ব্রতী আমি এসেছি। তুমি আমাকে  অনুভব করতে পারছ কি? এই তো তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। এই যে মেয়েটার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।  বুঝতে পারছ না?

 মেয়েটার কি নাম দেবে? আমার চিরকালই পছন্দ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে যে সব মহিলারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের নাম। আর তাই শুনে তুমি আগে খুব হাসতে। বলতে সরোজিনী, অরুণা, মাতঙ্গিনী- এসব নাম আর আজকের দিনে হয় নাকি! না না, তুমি যেরকম চেয়েছিলে, নাম তাই রেখো। আমি শুধু একবার ওর গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যাবো।

-একি তুমি এখনও কাঁদছ? আমার কথা  ভেবে! নাকি এ ভেবে যে কালকে আমার এই মেয়েকে এই সমাজে তুমি একা কিভাবে বড় করবে? কি পরিচয় দেবে? চিন্তা করো না। আমি তো আছি। তোমার পাশেই থাকব। সেই যে কি যেন সিনেমাটার নাম! আমি আর তুমি দেখতে গিয়েছিলাম। শেষ সিন। কবিগুরুর গানটা শুনে তুমি খুব কেঁদেছিলে। 'সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি। কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি। আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।' চোখ খুলে আমাকে না দেখতে পেলে, চোখ বন্ধ করবে। দেখবে, অনুভব করবে আমি আছি।তোমার পাশেই।  

আমি জানি সারা গ্রাম যখন ভীড় করে এসেছিল আমার মৃতদেহ দেখতে, তখন সে ভিড়ে তুমি ছিলে না। আমাকে যখন মৃত্যুর পরে বীরচক্র দেওয়া হল, তখনও তুমি সেখানে ছিলে না।  আসলে তোমার তো কোন পরিচয় ছিল না। কিভাবে আসবে, তাই না?

কিন্তু তাই তো আজ আমি এতদূর থেকে তোমাকে পরিচয় দিতে এসেছি। আমি ভারতের সেনা। আমি কথা রাখব না! কি করব বল! সেদিন যদি ওই সন্ত্রাসবাদীদের না আটকাতাম, ওরা হয়ত ঢুকে আসত ভারতে। আর কে বলতে পারে তোমার মত কতজন তখন তাদের স্বামী-সন্তানকে হারাত। আর প্রতি মুহূর্তে তখন তোমাদের মনে হত, তোমরাও যেন সেই সীমান্তেই পড়ে আছ। জীবন আর মৃত্যুর সীমান্তে। না, আমি তা হতে দিই নি। আমার প্রাণ দিয়ে ওদের আটকেছি। আর তোমাদের জন্য রেখে গেছি আজকের ভোর।

 ওই দেখছ ভোরের আলো আসছে! কি সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তোমার ওপর, তোমার চুলের উপরে, আমার সোনার উপর।  ভেবে দেখ তো কি হত যদি এই মুহূর্তে এই হাসপাতালের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হত! না, আমি তা হতে দিই নি।

ওই দেখো কে যেন গাইছে – আনন্দধারা বহিছে ভূবনে। দিনরজনী কত অমৃতরস উথলি যায় অনন্ত গগনে।  আমার জন্য ক্ষুদ্র দুঃখ থাকুক, গানের বেদনা থাকুক। তোমার জন্য রেখে গেলাম এই আনন্দধারা। 

আমি আসি। ভালো থেকো ব্রতী। প্লিজ, আর কেঁদো না।  

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী

2 comments:

  1. এটা পড়ে স্থম্ভিত হয়ে গেলাম দাদা। অসাধার, অনবদ্য।

    ReplyDelete
  2. Some of the most important casino software program producers have their own online roulette sport variants. Let’s depend down some well-liked sport providers you will find at the top US casino sites. To play online roulette at a cellular casino, visit your 1xbet favourite playing website in your smartphone’s browser. The desk and wheel adjust for smaller units and have touchscreen-friendly controls. This is a stay roulette sport variation that, instead of a dealer spinning the wheel, may have} a completely automated real-time wheel to position your bets.

    ReplyDelete