নিশ্চয়ই
ভাবছেন ইতালিতে করোনা ভাইরাসে কেন এতো মৃত্যু হচ্ছে ! কারণগুলো ভাবলে বুঝতে পারবেন, ভারতেও এই একই জিনিষ
হতে পারে। এর জন্য ভয়ে প্যানিক করার দরকার নেই, দরকার সতর্কতা।
দরকার সামাজিক যোগাযোগ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে থাকা।
দরকার সামাজিক যোগাযোগ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে থাকা।
কতদিন? সেটা কেউ বলতে পারবে
না। এটা আগামী আট সপ্তাহ হতে পারে, আবার আগামী বারো মাসও
হতে পারে। যতদিন আমরা কোন ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিবডি বার না করতে পারি, ততদিন আমরা করোনার
করুণার পাত্র।
এবারে
ইতালিতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর কারণগুলো দেখা যাক-
১
অত্যন্ত বেশী সংখ্যক বয়স্ক মানুষ। যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৮১ বছর। (এটা
অবশ্য ভারতীয়দের জন্য খাটে না)
২
অত্যধিক ধূমপান করার অভ্যাস(ভারতের মতো)- এটা অবশ্য ভুল প্রমাণিত। ধূমপান সংক্রমণ
কমায়।
৩
দাদু -দিদা- ঠাকুরদা- ঠাকুমার সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগ।(ভারতের মতো)
৪
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক পরে বুঝতে পারা।(এটা আমাদের এখনও ভারতের ক্ষেত্রে
জানা নেই)
৫
প্রয়োজনের তুলনায় কম ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট(ভারতের থেকে ভালো)
৬
আড্ডার অভ্যাস।(ভারতের মতো)
৭
গায়ে হাত দিয়ে কথা বলার অভ্যাস। (ভারতের মতো)
৮
ইতালির এই এলাকায় দূষণ বেশী(ভারতের থেকে ভালো)
৯
শৃঙ্খলাবোধের ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব(ভারতের থেকে ভালো)
জার্মানি
বা জাপান কিভাবে মোকাবিলা করছে, তার থেকে অনেক কিছু শেখা যেতে পারে।
এ
ঘটনা আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সমাজে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞানের
গুরুত্বকে। এ সংকট থেকে উদ্ধারের ক্ষমতা আছে শুধু বিজ্ঞানের আর মানুষের
শুভবুদ্ধির।
একটা
জিনিষ সবার মনে রাখা দরকার, ডাক্তার
বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হল আমাদের আসল ঈশ্বর। তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের
সেবা করছে। তাদেরকে সবার আগে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে কেউ এ যাত্রায় রক্ষা করতে
পারবে না।
অনেকেই
জানে না। একবার মনে করিয়ে দিই। শেষ প্যান্ডেমিক যা প্রায় দু বছর ধরে চলেছিল, সেই ১৯১৮-২০ র স্প্যানিশ
ফ্লুতে সবথেকে বেশী মারা গিয়েছিল ভারতীয়রাই। তখনকার দিনে প্রায় দেড় কোটি ভারতীয়
মারা যায়।
সবাই
ভালো থাকবেন। আবার বলছি ভয়ে প্যানিক করার কিছু নেই। তবে যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্যি অভূতপূর্ব। কিন্তু
ভারতীয়রা চাইলে পারে না, এমন
কিছু নেই।
0 comments:
Post a Comment